Friday 9 June 2017

ভালোবাসার শহর

“খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে বনের পাখি ছিল বনে
একদা কী করিয়া  মিলন হল দোঁহে, কী ছিল বিধাতার মনে
......এমনি দুই পাখি দোঁহারে ভালবাসে তবুও কাছে নাহি পায় ।
খাঁচার ফাঁকে ফাঁকে পরশে মুখে মুখে নীরবে চোখে চোখে চায় ।“

আমরাও খাঁচার পাখি , তাই থেকে  যাবো বরাবর  , এই জীবনে । বাবার কবিতায় আছে  “সভ্য মানুষ পদ্য লেখো / ঝরনা হতে অনেক মানা । “
কিন্তু বহুকাল  আগে এমনই দুজনার দেখা হয়েছিল । একজনকে সত্যিই পাখি বলে ডাকা হত ।  দেশে দেশে সে ঘুরে বেড়াতো ,চালচুলো  নেই , ভবঘুরে  বাউন্ডুলে । কোন এক জায়গায় স্থির থাকতে পারতো না । পাখির মতই উড়ে উড়ে বেড়াতো এক দেশ থেকে আরেক দেশে ।

এদিকে আমাদের বাস ছাড়লো কাপাদোকিয়া থেকে  । চলেছি কোনিয়ায় । আড়াই ঘন্টা মতন লাগবে । বিকেল ছ’টা হবে  পৌঁছতে বিকেল, কারণ সূর্য থাকবে তখনও টগবগে । আরামদায়ক বাস । যে যার মতন বসে আছে ।  সিল্কের মতো মখমলি রাস্তায় বাস চলছে । একটু জোরে চালালে পারত কিন্তু  ।

যে কথা হচ্ছিল, ওই ভবঘুরে বাউন্ডুলের বুকের মধ্যে একটা সোনার খনি লুকোনো ছিল । এমনিতে উলিঝুলি চেহারা , কিন্তু ঝুলির মধ্যে অনেক রসদ । সে এক চির পথিক । এক সন্তের মতো । বে ইন্তাহা ইশক , সীমাহীন ভালোবাসার আকাশে পাখির মতো ডানা মেলত । সে লিখেছিল ,”ভালোবাসা যেন জীবনদায়ী জল  ,হৃদয় দিয়ে আত্মা দিয়ে একেবারে তলানিটুকু পান করো ।
ওগো প্রেমিকেরা ,সময় এসেছে বেরিয়ে পড়ার । নক্ষত্রের গহিন থেকে যে শব্দ ভেসে আসছে আমার হৃদয় তা কান পেতে শুনছে প্রতিনিয়ত । আমাদের উট চালকেরা তৈরি ,যাত্রা শুরু হল বলে । ওরা জিগ্যেস করেছে যাত্রীরা এখনও ঘুমিয়ে কেন? “
এই পাগল খিটকেল লোকটির নাম শামস । ইরানের শামস এ তাব্রিজি ।  আরবি ভাষায় শামস মানে সূর্য । সেই আলোয় সত্য সুন্দর আর ভালবাসার সন্ধান ।   সে আবার শুধু বনের পাখিই ছিল না , ছিল বুনো পাখি , কথায় কথায় মুখ খারাপ করত , রেগে যেত । কিন্তু আদতে মানুষটা ছিল আগাগোড়া সোনার আর  তার ছিল  জহুরির চোখ ।  অলৌকিক ক্ষমতা এবং  গভীর প্রজ্ঞা  তার উলিঝুলি পোশাকের  দুই পকেটে পোরা থাকতো ।

ড্রাইভারের সহকারী চা কফি ঠাণ্ডা পানীয় জল দিয়ে যাচ্ছে ।  আমাদের যাচ্ছি কোনিয়ায় । জালালুদ্দিন রুমি মেভলানা ( মৌলানা) র দেশ । 

রুমির প্রতিভায় হিরের জৌলুস ত্রয়োদশ শতকের এই মানুষটি আজও অন্যতম বেস্ট সেলার । টুকরো টুকরো  স্ফটিক খন্ডের মতো দ্যুতিময় তার প্রতিভা , তার কবিতা আজও সমানভাবে জনপ্রিয় , বিশেষ করে পশ্চিমের দেশ গুলোতে । বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ।
কিন্তু এই  রুমিকে,  প্রেমিক কবি রুমি দিওয়ানা রুমি যিনি  বানিয়েছেন তিনি হলেন সেই  খ্যাপা শামস । পরশ পাথর খুঁজতে খুঁজতে একদিন  কোনিয়ায় এসে হাজির হলেন , জানতেন বিলক্ষণ যে পরশ পাথরটি এখানেই আছে ।

রুমি  ছিলেন আদ্যন্ত একজন এলিট । বড়লোক , ক্ষমতাবান ।  শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে  মাখামাখি । ঈশ্বর সব দিয়েছেন,  প্রতিভা , অগাধ পান্ডিত্য , তত্ত্বজ্ঞান । সমাজের উঁচু তলা । উদার মন , বন্ধুবৎসল । এমন একজন এলিট ক্লাসের সঙ্গে বনিকসমাজের মেলামেশা ভালো নজরে দেখা হত না । রুমি প্রগতিশীল , স্বর্ণ বনিক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক পাকা করলেন বন্ধুর মেয়েকে তার নিজের ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে । বেশ একটা রেভ্যুলুশনারি  উদ্যোগ , সেই সময়ে তো বটেই ।
বাস এসে থামল কোনিয়া বাস ( হাভাস) টার্মিনালে । আমরা যাবো রুমি হোটেলে । কথামত আহমেটকে ফোন করি । আমরা এসে গেছি যে ।
একটু অপেক্ষা করো , রাস্তায় জ্যাম আছে । পনেরো মিনিট লাগবে
সত্যি কথা বলতে কি এই জায়গাটা সম্মন্ধে আমার ভালো ধারণা ছিল না । কেমন যেন পুরনো দিল্লির নিজামুদ্দিন আওলিয়ার দরগার ছবি ভেসে উঠছিল । ওই রকম গলি ঘুঁজি , হৈ হট্টগোল , ধর্মানুরাগীদের ভিড়, গোলাপ ফুল আগরবাতি  । কিন্তু এতো তা নয় । ঝকঝকে আধুনিক  ইওরোপের মতো । বাস ট্রাম  বাড়ি ঘর সব চক চক করছে । কত্ত বড় ট্রাম । ট্রেনের মতো । বেশ ঠান্ডা  হাওয়া । শীত শীত করছে । সামনেই গ্রিক অর্থোডক্স চার্চের মতো মসজিদ । খুব সুন্দর দেখতে । সামনে দিয়ে যে লোকজনেরা হেঁটে যাচ্ছে তাতে আন্দাজ, এটা একটা মধ্যবিত্ত শহর ।




 আহমেট এসে হাজির হয় । তার হাতে আমাদের কোনিয়া ভ্রমণের ভার । আমরা চলেছি রুমি হোটেল । গাড়িটাও আহমেটের । বড় বিনয়ী । বন্ধুবর কিন্তু হাল ছাড়েন নি । তিনি বলেই চলেছেন এখখুনি ঘিঞ্জি শহর শুরু হয়ে যাবে । এদিকটা আসলে নতুন । খুব আত্ম প্রত্যয় নিয়ে জিগ্যেস করলেন, আহমেট আমরা পুরোনো শহরের দিকে যাচ্ছি , তাই না ?
যেন ধর্মের সঙ্গে  ঘিঞ্জি , গলি , আবর্জনার   একটা রাজযোটক হতেই হবে ।
হ্যাঁ , আমাদের হোটেলটা পুরোনো শহরে , মেভলানার একেবারে পাশেই ।
কিন্তু শেষ অবধি দুয়ে দুয়ে চার হল না । পুরনো শহরে এলাম বটে , ওই একটু পুরোনো বাড়িঘর আর বেশ শুনশান এলাকা ।  তাছাড়া আর কিচ্ছু  মিলল  না । 








রুমি হোটেল থেকে মেভলানার সমাধি ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ।  ইস্তানবুলের ব্লু মস্কের পরেই সবচেয়ে বেশি  দর্শনার্থীর ভিড় এখানেই ।
 আমাদের ঘর থেকে মেভলানা , যেন ” অকূল সুপুরি বন স্থির জলে ছায়া ফেলে একমাইল শান্তি কল্যাণ হয়ে আছে” ।  নীল আকাশের মাঝখানে ফিরোজা রঙের স্তম্ভ আমাদের স্বাগত জানালো সিটি অফ লাভ , ভালোবাসার শহরে ।

  একটু পরে বাইরে বেরুলাম । লোকজন অল্পই । বেশ ভালো লাগছে হাঁটতে । চারদিকে অনেক দোকান বাজার । স্যুভেনির শপে উপচে পড়ছে  সুফি দরবেশ , দরবেশ আর দরবেশ ।  । নানান মাপের নানান ধরনের । একটা কাবাবের দোকানের নাম “ সুফি কেবাব “।   আর সন্ধের মুখে শেষ  অস্তরাগ মেখে ঘন বেগুনি পিটুনিয়ার ঝাড় বলছে “ইশক , ইশক , ইশক “ ।কে শেখাল অভিজাত ধনী রুমিকে এই  মাতাল করা  ইশক ।







শামসের  সঙ্গে রুমির যখন দেখা হল তখন  শামস ষাটের কোঠায় আর রুমি চল্লিশ ছুঁই ছুঁই । তাদের প্রথম কি ভাবে দেখা হয়েছিল তাই নিয়ে অনেক ধরনের গল্প চালু আছে । কিন্তু আসল কথাটা হল  একে অন্যকে চুম্বকের মতো টেনেছিলেন । শামস ভবঘুরে অথচ নিবিড় অধ্যাত্ম শক্তি । সামাজিক রীতিনীতি কে তোয়াক্কা করেন না । রুমি যিনি একেবারে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করতেন , নিজেকে সমর্পণ করেন শামসের হাতে শামস হয়ে  গেলেন তাঁর গুরু । পন্ডিত রুমি, অভিমানী রুমির  হৃদয় খুঁড়ে তিনি বের করে আনলেন ভালোবাসার ফল্গুধারা । রুমি ততদিনে অন্তরের অনিভান আলোর সন্ধান পেয়ে গেছেন । সেই থেকে পথে পথে ভালোবাসার মোহর ছড়াতে ছড়াতে চলেছেন তিনি, এমনকি আজও।
এমনো শোনা যায় রুমি তার বালিকা সৎ মেয়ের সঙ্গে সামস এর বিয়ে পর্যন্ত দিয়েছিলেন যাতে শামস কে হারাতে না হয় ।
কিন্তু মেয়েটি অকালেই মারা যায় ।  লোকে বলে রুমির ছোটছেলেই শামস কে মেরে ফেলে কারণ সৎ বোনের ওপর তার দুর্বলতা ছিল । আবার অনেকে বলে শামস নিজেই রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেছিলেন । যাই হোক না কেন ,  বুনো পাখিকে বেঁধে রাখতে পারেন নি রুমি কিন্তু নিজে বদলে গিয়েছিলেন আগাগোড়া ।
নিজেকে উজাড় করে  দিয়েছেন কবিতায় । অজস্র অগুন্তি কবিতার জন্ম , ভালোবাসার শিশিরে ভেজা । শামসের মৃত্যুর পর  রুমির গভীর শোকমগ্নতা জন্ম  দিল মসনভি বা মথনবি  কাব্য । ঈশ্বর যে সখা , প্রভু আমার প্রিয় আমার ।












শামস না থাকলে রুমি পূর্ণতা পেতেন না । শামস তাকে  অতীন্দ্রিয় রহস্যে ভরা নক্ষত্র পথের সন্ধান দিয়েছিলেন । একজন তত্ত্বজ্ঞানী হয়ে উঠেছিলেন মরমিয়া পথের পথিক । ঘূর্ণায়মান দরবেশ একহাতে প্রেমসুধা আহরণ  করে অন্য হাতে তা ছড়িয়ে ছড়িয়ে চলেছে,  সেই চির খ্যাপা । সমা এ মেহফিল  বসে প্রত্যেক শনিবার । আমাদের দেখা হয় নি ।
এই মুরিদ মুর্শিদ প্রেম দেখা গেছে শেখ জামালি কামালি, হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া আর আমির খসরুর মধ্যেও
পরের দিন সকালে মেভলানার উদ্দেশে রওনা হলাম , পায়ে হেঁটে । খুব বড় সমাধি গৃহ । সঙ্গে মিউজিয়াম ।

পরিচ্ছন্ন চারদিক । অনেক মানুষজন এসেছে । তবে কোন গোলমাল কোলাহল নেই । নব দম্পতি এসেছে আশীর্বাদ নিতে ।  অনেক ছাত্র ছাত্রী এসেছে ।  হজরত মেভলানার সমাধি ও চারপাশে  অসাধারণ কারুকার্য । বড় সুন্দর । বড় বেশি রকমের সুন্দর । অসাধারণ ক্যালিগ্রাফি চিত্রকলার অভাব পুরিয়ে দেয় ।  সুফি দরবেশের প্রতিদিনের জীবন মায় রান্না করা বাজার করা  গুরুর কাছে মার খাওয়া সবই পুতুলের  মাধ্যমে প্রদর্শনীর মতো করে রাখা । রাখা আছে তাদের টুপি পোশাক বাদ্যযন্ত্র জপমালা ।
রুমির প্রশস্ত পরিসর চত্বরে   একটা  অবাক করা জিনিস লুকিয়ে ছিল । বলছি না ভালোবাসার শহর ! হঠাৎ চোখে পড়লো একটি স্মারক , মহম্মদ ইকবাল “ সারে জাঁ হা সে অচ্ছা , হিন্দোস্তা হমারা ...” । তিনি চেয়েছিলেন তাঁর প্রিয় কবির সমাধিস্থলে যেন তাঁর কোন একটা চিহ্ন থাকুক  ।
রুমি থেকে সামান্য দূরে  শামস  এ তাব্রিজির সাদাসিধে অনাড়ম্বর সমাধি । খুব সাদা মাটা । এখানেও সমান শান্তি শৃঙ্খলা ।
নিজের  জীবনটা যেমন ছিল , শেষ  আশ্রয়ও সেই রকম । ভানহীন সরল ।












কিছু কেনাকাটি করি , দোকানে ঢুকি ।  পেছন থেকে কে যেন ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে আছে । কি ব্যাপার দেখতে পাচ্ছ না যে ? ওমা আপনি ? গাধার পিঠে উলটো করে  বসে ইয়া বড় পাগড়ি মাথায়  নেসরুদ্দিন হোচা বা আমাদের মোল্লা নাসিরুদ্দিন ।  ভালোবাসার বাটি ততোক্ষণে উপচে পড়ে আর কি !




আমাদের আবার আন্তালিয়া যেতে হবে । ওই  আহমেটের গাড়িতে করে  । প্রায় পাঁচ ঘন্টার পথ । আহমেট একজন সাদাসিধে ছাপোষা লোক । গাড়ি চালিয়ে পয়সাটা নিজের ঘরে তুলতে চায় । তাই হোটেল থেকে ছুটি নিয়েছে । একটু কিন্তু কিন্তু মুখ করে  বলল আমার ন’বছরের ছেলে তায়েব সঙ্গে গেলে কোন অসুবিধে নেই তো ? মানে বাচ্চাদের নিয়ে বিশেষ
বেরোনো হয় না কিনা ।

ভারি মিস্টি ছেলেটি। আপেলের মতো টুকটুকে । ইংরেজি জানে না । ছাত্র হিশেবে ভালো , ওর বাবাই বলল ।
আমরা কোনিয়ার একটা সুন্দর মতন  পাড়ায় রোদ ঝলমলে দুপুরে একরাশ গোলাপ ঘেরা রেস্তোরাঁয় আইরান মানে বিশুদ্ধ নোনতা ঘোল,বুল্গুর  আর আদিনা কাবাব খেয়ে গাড়িতে চাপলুম ।



কাপাদোকিয়ার মায়াজগত থেকে কোনিয়ার সুন্দর শান্ত  স্নিগ্ধ শহর ছেড়ে  এবার ভূমধ্যসাগরের দিকে পাড়ি । আনাতোলিয়া থেকে মেডিটেরানিয়ান । এই ক’দিনে আমরা তুরকিশ চায়ের ভয়ানক ভক্ত হয়ে গেছি । চা নিয়ে আসলে আমাদের অনেক সমস্যা । বেশির ভাগ জায়গায়  চা খেয়ে সুখ নেই ।  একমাত্র  সমস্ত তুর্কি ভ্রমণে এখানকার চা আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড ।
কাপাদোকিয়া, ধরা ছোঁয়ার বাইরে এক স্বপ্নের কুহকিনী  , সে পাগল করে খেপিয়ে মারবে  সবসময় কোনিয়া ছিমছাম আটপৌরে মধ্য বয়সী মা মা সুন্দরী । সে আশ্রয় দিতে জানে , ভালোবাসা দিতে জানে । সে তো ভালোবাসারই শহর ।

অনেকটা পথ । সুযোগ বুঝে আমি মাঝবয়সী  সাদাসিধে ছাপোষা  আহমেট কে জিগ্যেস করি ,  কামাল আতাতুরক একজন কামাল লোক ছিলেন। কী বলুন ?
বেশ কিছুক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলল ।
আহমেট যা বলল তা এইরকম, আপনি দেখবেন বেশির ভাগ মানুষ এখন আতাতুরক কে পছন্দ করে না । তিনি একেবারে সব কিছুর মূল কেটে ফেলতে চেয়েছেন । আধুনিকতা ভালো  কিন্তু তাই বলে আমাদের ঘাড় ধরে   বাপ পিতেমোর সবকিছু জলে ফেলে দিতে হবে, সেটা ঠিক নয় । এখনকার প্রেসিডেন্ট  কিন্তু যথেষ্ট করিতকরমা  । সব কিছুই আমরা পারি   । কী নেই আমাদের ? তাই বলে ছেলেপুলেরা ধর্ম কী ,  রীতিনীতি কী জানবেই না , সেটা মেনে নেওয়া যায় না বাপু  ।

মুখে এসে গেলেও বলতে পারলাম না যে রুমি তাব্রিজ তারা কেউই কিন্তু গোঁড়া ছিলেন না । আজকে রুমি পশ্চিম দুনিয়ার মন জিতে নিয়েছে  সে কি এমনি এমনি ? কতো আধুনিক ছিল তার ভাষা , চিন্তার ব্যাপ্তি ।  কতো রক স্টার পপ গাইয়েকেও অনুপ্রাণিত করেছে তের শতকের এই কবি ।
গাছেদের ছায়া ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে । বেলা গড়িয়ে এলো । দূর থেকে যেন সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস শোনা যায় । একটা প্রাণবন্ত ঝলমলে শহরের মধ্যে ঢুকে গেছি তায়েবের সঙ্গে চোখ আর হাসি ছাড়া ভাষায় কথা হয় নি । ভারি ভব্য ছেলে ।
আমাদের হোটেল, সমুদ্র ঘেঁষা । সবুজ গাছের মধ্যে নীল রেখা দেখতে পাচ্ছি ।

আহা, এতো দূরের পথ । আবার ফিরে যাবেন । অনেক রাত হয়ে যাবে । ছেলেটার বড় কষ্ট হবে আজকে । ওকে না আনলেই পারতেন ।

নিয়ে এলাম এই জন্য , ও কোনোদিন সমুদ্র দেখে নি তো !






ছবি  সুপর্ণা দেব
শামস /ইকবাল ছবি জয়ন্ত নারায়ণ
রুমির কবিতা গুগল 






3 comments:

  1. রবিবারের দুপুরটি যেন রাখাই ছিল রুমির আলোতে উদ্ভাসিত হবার জন্য।আর তেমনি সুন্দর ছবি।মন ঝলমল করে উঠল।তুরস্কে জোনাকিরা আলো দিক।ভালো থাকুন।

    ReplyDelete
  2. আনন্দের এই ধারা অব্যাহত থাকুক!

    ReplyDelete
  3. অসীম কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা, অনুরাধা

    ReplyDelete