Thursday 3 May 2018

Nandano Soprano Series no 3


দেয়ালের রঙ ঘন নীল। তার সামনে  কমলালেবুর ঢিপি ।  সেই  লেবু থেকে টাটকা  কটকটে কমলা রস বড় একটা কাঁচের জারে জমা হচ্ছে আর সেখান থেকে  উঁচু করে ঢালা হচ্ছে  দুটো বড় গেলাসে । আমাদের  সামনে দুটো জমাট রঙ , ঘন নীল আর ঘন কমলা । পায়ের ফাঁকে ঘুরঘুর করছে দু তিনটে সাদা কালো পাঁশুটে বেড়াল । নীল আকাশে গোলাপি ছোপ । বিকেল গড়াচ্ছে । পাশেই মাটির চুলায় গনগনে আগুন । পোড়া মাটির টাজিনে চিড়বিড় করে ফুটছে কুমড়ো বিচি । বাদাম পোড়া গন্ধ ।  মাঝে মাঝে ফটাস ফটাস করে ফেটে উঠছে ।  আজ নীল মুক্তোর দেশে আমাদের শেষ দিন । নন্দানোর ঝুরো চুলে হালকা রোদ্দুর । মুখে হালকা চিন্তা । কমলালেবুর রসে চুমুক দিয়ে খুব আস্তে আস্তে বলল

 “ আচ্ছা সোপ্রানো , আমি কি সত্যি সত্যি যাবো ? “

“ হ্যাঁ , যাবি না কেন ? বারবার তো এখানে আসা হবে না “?
“না, তা হবে না । কিন্তু ...”

যারা নন্দানোকে জানে তারা  বেশক জানে সে কতটা ভালো ! এতো ভালো বোধহয় হতে নেই । সেবারে কী একটা কাজে আমি আর নন্দানো হায়দ্রাবাদ গেছিলাম । ওমা ! দেখি কী বিপদ!  শশধরবাবুও ঝোলাঝুলি খাতা কলম  নিয়ে হাজির ! তা আমরা তিনজনেই সকালবেলা খাবার ঘরে যাচ্ছি । শশধরবাবুর যা স্বভাব , তিনি ঘোষণা করতে করতে চললেন “আমি বাটার টোস্ট খাবো , হালকা খাওয়াই ভালো , বাটার টোস্ট , ডিমের কুসুমটা খাবো না । সাদাটা খাবো “। খাবি তো খাবি , এতো ঘোষণা করার কী ই বা দরকার । আমারও রোখ চেপে গেলো , বল্লুম আমি ইডলি খাবো । ওটাও হালকা ।

অমনি শশধরবাবু কী একটা কমেন্ট করে বসলেন । ঝগড়া প্রায় লাগে লাগে । নারদ নারদ । কিন্তু ডাইনিং হল  এসে  গেলো । আর  ঝগড়া  করা হোল না । আমরা তিনজনে একসঙ্গেই খেতে বসলাম । নন্দানো কিন্তু কোনো কথা বলে নি এতো ক্ষণ । আমি ওর প্লেটের দিকে তাকালাম , দেখলাম একটা বাটার টোস্ট আর একটা ইডলি । আমার তো খাওয়া প্রায় বন্ধ । সমঝোতা র এমন নীরব অথচ ভয়ানক সরব প্রমাণ দেখে শশধর বাবুও কিঞ্চিত লজ্জিত ।

সেই ভালো মানুষ নন্দানো ফিসফিস করে বলে উঠলো “ এসে গেছে, দ্যাখ”। আমরা তো একটু উঁচু জায়গায় বসে ছিলুম , দেখলাম টুকটুক করে দুজন মহিলা জোব্বাজাব্বা পরে ওপরে উঠে আসছে । আসলে আমরা মাত্র দুদিন আগে ট্যাঞ্জিয়ের থেকে শেফশাউহেন এসেছি ।  কালকেই  আমরা মরক্কো ছাড়ছি ।

শেফশাউহেন শহরটা কে যেন কেউ রবিন ব্লু এ ডুবিয়ে দিয়েছে । আকাশের নীল সমুদ্রের নীল আর নীলরঙা শহর  একেবারে মস্ত কলন্দর করে মারছে আমাদের । নীলের আবার কত রকম শেড । পুরোনো শহর  বা মেদিনা , আর তার গলিঘুঁজি, নকশা কাটা টাইলস । আমাদের চারদিকে আয়েসের আরব্য রজনী । মুর , আরব  আর স্পেন থেকে পালিয়ে আসা ইহুদি এখানে আস্তানা গেড়ে বসেছিল । শহরের এই ঘোরতর নীলিমাপ্রীতির সঠিক কারণ কেউ ই বলতে পারে না । কেউ বলে মশা তাড়াবার জন্য নীল রঙ খুব যুতসই । আমাদের দেশে এখোনো অনেক বাড়ির দরজায় নীল রঙের বোতল ঝুলিয়ে রাখে রাস্তার কুকুর তাড়াবার জন্য !

এতো খাশ খবরে সময় নষ্ট না করে আমরা এখানকার খাশ খাবারে  খোশ মেজাজে কবজি ডুবিয়েছিলাম । চিজ স্যালাড ।ছাগলের দুধের চিজ তাতে কিশমিশ আর আমন্ড বাদাম  । সব মেদিনা গুলোতে কয়েকটা কমন ব্যাপার থাকবেই , যেমন একটা বাজার বা সুক , মাদ্রাসা , মসজিদ , কমিউনিটি তন্দুর , পাঞ্জাবে যাকে বলে সাঞ্ঝা চুলা ,  মেয়েরা এই সাঁঝ  বিকেল বেলা বেশ খানিকটা আটা ময়দা বাজরা রাগি জোয়ার , দই মিশিয়ে পুদিনা কুচি কালো সাদা তিল দিয়েঠেসে মেখে লেচি বানিয়ে দুই হাতে চেপেচুপে রুটি গড়ে তন্দুরের গায়ে লাগিয়ে  দিয়ে গাল  গল্প করে , মাথার ওপর ঘন নীল আকাশে হিরের কুচির মতো তারা ফোটে তখন । আর যে ব্যাপারটা প্রতিটি জায়গায় থাকে তাকে  বলে হাম্মাম ।

কমিউনিটি হাম্মাম । মেয়ে পুরুষদের আলাদাসময়  এই হাম্মাম আর সাঞ্ঝা চুলা হোল পাক্কা গসিপ করার জায়গা ।

কাল আমি হাম্মামে গেছিলাম আর নন্দানো তখন একটা নীল রঙা সিঁড়ির ওপর তিনটে পাঁশুটে বেড়ালের সঙ্গে বসেছিল । কিছুতেই ভেতরে  ঢুকলো না । পরে আমি বললাম , বারবার তো আমরা শেফশাউহানে আসবো না , নন্দানো । একবার ঘুরেই আসিস বরং । যে কথাটা চেপে গেলাম সেটা হোল হাম্মামের ওই জোব্বা মহিলাদের আড়ং ধোলাই । আমি  যেন ওদের হাতে একটা ময়লা কার্পেট । দুরমুশ দুরমুশ দুরমুশ । না, নন্দানো কে ধরে পেটানো হোক সেটা আমি কখনোই চাইনি । এরমধ্যে ওই দুই জোব্বা আমাদের কাছে এসে গেছে , থলের ভেতর হাত বের করে আনছে আইসক্রিমের  স্কুপের মতো অলিভ ওয়েলে তুপতুপে সাভোন বেলদি ,গায়ে মাখার বদলে মুখে পুরে দিতে ইচ্ছে করে , থলে থেকে আরো বেরুলো লাভা মেশানো ধুনোর টুকরোর মতো ঘাসুল । ওটা আসলে শ্যাম্পু । ঘাসুলের চেহারা দেখে নন্দানো একটু ঘাবড়ে গেলো । জোব্বা রমণী রা স্প্যানিশ ফ্রেঞ্চ আরাবিকের  একটা চ্যবনপ্রাশ তৈরি করে হেসে হেসে  নন্দানোকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে গেলো । স্প্যানিশ বললে নন্দানোর সুবিধেই হয় ।  আমি সন্ধে নামা পাহাড়টিলায় কুমড়োর বিচি ভাজা খেতে লাগলুম । নন্দানো বেশ কিছুক্ষণ পরে হাসি হাসি মুখে একটা সাদাকালো বেড়ালকে ঘাড়ে ঝুলিয়ে এসে পাশে বসলো ।

“বুঝলি সোপ্রানো , গিয়ে বেশ ভালোই লাগলো , যত খিটকেল ব্যথা ছিল এখন আর বুঝতেই পারছি না যে সেগুলো  কোনোদিন ছিল । আর ঘাসুলটা মোটেই  ইটের টুকরো মতো নয়রে , বেশ মোলায়েম হয়ে যায় , দ্যাখ চুলগুলো কী রকম ফুরফুরে হয়ে গেছে ।"

আমি সাহস করে জিজ্ঞেস করে উঠতে পারলাম না ওকে কার্পেট না বেড কভারের  না চাদরের মতো কেচেছিল

শুধু হাঁফ ছেড়ে বললাম , যাক




আমাদের গাড়ি চালাচ্ছিলো নিক । ভালোই বয়স হয়েছে । গ্রিসের লোক । মোটা সোটা ।  আমুদে ।

নিজের দেশ ছেড়ে এতো দূরে ? কবে এসেছো এখানে ?

বৃষ্টি আর আর ভিজে হাওয়া আছড়ে পড়ছে গাড়ির কাঁচে । ওয়াইপার চলছে ঘনঘন । পেরিয়ে যাচ্ছি একেকটা স্বপ্নের মতো বাঁক । পাশে পাশে কোঁকড়া চুলের দামাল জলরাশি উড়িয়ে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে চলেছে এক স্বর্গীয় সুপুরুষ । কখনো তার কাঁধ থেকে পিছলে পড়ছে মেঘ ছেঁড়া মাখন নরম রোদ্দুর । আমাদের থেকে দ্রুত তার গতিআমাদের থেকে আগে পৌঁছনো তার জেদ । তার পেশল বাহু আর  লম্বা আঙুল । মধ্যমায় ফিরোজা রঙের আংটি ।

“ডিপ্রেশন “

“হ্যাঁ ডিপ্রেশন তো বটেই । এই মেঘ বৃষ্টি আর এবেলা ছাড়বে না ।“

“নো , আয়াম টকিং অ্যা বাউট  দ্য গ্রেট ডিপ্রেশন অফ ইওরোপ, যা আমাকে ঘরছাড়া করেছিলো  তিরিশের মন্দা । অর্থনীতি ধসে পড়েছিল । কাজ ছিল না। খাবার ছিল না । কতই বা  বয়স আমার তখন , আঠেরো হবে । কাজের খোঁজে ঘর ছাড়তে হলো । দলে দলে লোক ইওরোপ ছেড়ে বেরিয়ে পড়লো । আমিও সেই দলে ছিলুম । সেই থেকে অস্ট্রেলিয়ায় , এই মেলবোর্নে । “

তিরিশের মন্দাতে ব্রিটিশ ভারতের অর্থনীতিও বেজায় মার খেয়েছিল ।   মুনাফা লোটার জন্য দেশের চাষিদের দিয়ে ক্যাশ ক্রপ ফলানো হতো, খাদ্যশস্য নয় । বাজার অর্থনীতি ভেঙে পড়লে সেই বানিজ্য শস্য মুখ থুবড়ে পড়েছিল , দেশে সেই সব কেনার লোক ছিল না অথচ খাবার নেই ।

কোথায় ছিলো তোমার  বাড়ি , নিক ?  

একটা বড় পাহাড় ঘুরে নিক তেরছা করে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলল , এখানে নামতে পারো । খুব ভালো ভিউ পাবে ।




ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি । নেমে দাঁড়িয়ে দেখলাম , সমুদ্র ফেনার মতো চুল গুলো ঝুঁটি করে বেঁধে সেই স্বর্গীয় সুপুরুষ সাঁ করে বেরিয়ে গেলো , যাবার আগে একটা তেরছা চোরা চাউনি দিতে ভুললো না , দেখলাম ।

গাড়ির দরজা বন্ধ করতে করেতে নিক বলল , 
“আমার বাড়ি লেসবস দ্বীপে , ভারি সুন্দর জায়গা । ওহ  তুমি ভাবতে পারবে না ।এতো সুন্দর! প্রেমের দেবতা অ্যাফ্রোদিতির দেশ । ইজিয়ন সমুদ্রের ধারে “।

এই বলে নিক একটু মুচকি হাসল । বলল , “লেসবিয়ান কথাটা ওই লেসবস দ্বীপ থেকে ই এসেছে । জানোতো !”

আমিও হাবুলচন্দ্রের মতো বলে উঠলাম,  হ্যাঁ হ্যাঁ ওই বোহেমিয়া থেকে যেমন বোহেমিয়ান এসেছে । সে রকম , তাইতো ?  এই আমি যেমন বোহেমিয়ান । আমাদের স্টাইলকে বলে বোহো স্টাইল । হি হি হি ।
আমরা তো সেই সকালে মেলবোর্ন থেকে গ্রেট ওশন রোড ধরে চলেছি । প্রায় ২৮০ কিলোমিটার । চার ঘন্টা তো লাগবেই গন্তব্যে পৌঁছুতে । তবে মুসাফিরদের তো পথেই আনন্দ । রাহ গুজর ।  রাস্তায় এক জায়গায় কফি খেয়েছি । ফিশ অ্যান্ড চিপস খেয়েছি । ভদ্রতা করে  নিক ই আমাদের কফি খাইয়েছে ।  সেখানে বড় বড় সাদা কাকাতুয়া নন্দানোর হাতে বসেছিল ।  বৃষ্টি মাখা বাতাসে নন্দানোর নাক সুড়সুড় করছিল , চোখ ছলছল করছিল । ধরা গলায় নন্দানো আস্তে আস্তে বলল, সোপ্রানো তুই যে অর্থে বোহেমিয়ান বলছিস সেটা কিন্তু  ফ্রেঞ্চ শব্দ

যাক , নিক কিছু বুঝতে পারে নি কারণ নন্দানো বাংলায় বলেছিল এখন ভালোই বাংলা বলে  

নিক বলল ,”স্যাপফো আমাদের দেশের কবি । স্যাপফো একজন মেয়ে , জানোতো ?  প্রেমের কবি । দুই নারীর মধ্যে যে ভালোবাসা হয়, তার কবি । সে অনেক কাল আগের কথা  ক্রাইস্টের ও আগে ।
আমি হাঁ করে কথা গুলো শুনি । ঝোড়ো বাতাসে এলোমেলো উড়ছে  লেসবস , স্যাপফো ,আফ্রোদিতি,  দুই নারীর প্রেম।  

নিক বলে চলে “দেশছাড়া তো বহুদিন । তোমরা নতুন করে সব  মনে পড়িয়ে দিলে । এই স্যাপফো মেয়েদের নিয়ে তাদের সৌন্দর্য নিয়ে তাদের প্রেম নিয়ে , ব্যাথা নিয়ে লিখে গেছেন । খুব বেশি লেখা উদ্ধার করা যায় নি । মেয়েদের ভালোবাসতেন তিনি ।  

ঘন সবুজ রেইন ফরেস্ট । পাতা থেকে মুক্তোর মতো ঝুলে আছে জলবিন্দু । পথের পাশে ফুলগাছের নিচে নিঃসঙ্গ সমাধি , একাকী লাইট হাউস । স্যাপফো কি এরকম একাকী ছিলেন?

নিক বলল একটু পরেই  আমরা নামব । রেডি হয়ে নাও ।

আমরা নামলান । হু হু করে বাতাস উড়িয়ে নিচ্ছে চুল ।  প্রায় দাঁড়াতেই পারছিলাম না ।
দিগন্ত বিস্তারি নিঃসীম জলরাশির মধ্যে ধ্যানমগ্ন বারো সন্তের পাথর । টুয়েলভ আপোস্টলস  অফ ক্রাইস্ট স্থবির প্রার্থনা । লাইমস্টোনে অবিরাম বাতাস ঘর্ষণে বারোটি প্রাকৃতিক ভাস্কর্য । এ দৃশ্য অপার্থিব ।  উত্তাল জলরাশি  কেবল উথাল পাথাল ।  জানা গেলো দু তিনটে  ভক্তর সলিল সমাধি হয়েছে ।





সমুদ্র ফেনার মতো উদ্দাম চুল গুলো বাঁ হাত দিয়ে মুঠি করে  ধরে আয়ত নীল চোখ তুলে সেই স্বর্গীয় সুপুরুষ ,সারা রাস্তা আমাদের সঙ্গে সঙ্গে আসা সেই  পেশল প্রশান্ত মহাসাগর ডান হাত দিয়ে আমার হাতের তালুতে এক মুঠি বরফ কুচি রাখল ।  আর শনশন করে বয়ে চলে গেলো মুহূর্তের মধ্যে , কাঁধ থেকে পিছলে পড়ছে মাখন রঙা রোদ। তবে  যাবার আগে সেই তেরছা চোরা চাউনি দিতে ভুলল না ।

আমার হৃদপিণ্ড যেন বন্ধ হয়ে আসবে । আমি নন্দানোর হাতে সেই বরফ কুচি তুলে দিই , নন্দানোর হাতে সেই বিন্দু বিন্দু জলে মেঘ কাটা রোদ্দুরের সাত রঙ ঝিলকিয়ে ওঠে  সেই রঙ মাখা জলবিন্দু থেকে উড়ে গেলো স্যাপফোর কবিতা  ারো সন্তের মাথা ছুঁয়ে দিগন্তরেখায়  বিলীন । আমাদের জন্য সেই স্বর্গীয় প্রেমিকের উপহার ।

O soft and dainty maiden, from afar
I watch you, as amidst the flowers you move,
And pluck them, singing.

More golden than all gold your tresses are:
Never was harp-note like your voice, my love,
Your voice sweet-ringing. 
Sappho with her friends listening to poetry from a poet 

Australia Photo : Suparna 


8 comments:

  1. জোনাকি মেলায় বেড়াতে যাবার সুযোগটি দারুণ। লেখিকার কলমে সুন্দর ছবির খই ফুটছে। কবির মুখে ফুল চন্দন থুড়ি কাচ্চা কাবাব আর কুলপি ।

    ReplyDelete
  2. আরে নওয়াজিস নওয়াজিস

    ReplyDelete
  3. ইহা আমি আগে পড়ি নাই কেন!

    ReplyDelete
  4. জোনাকি মেলায় আমি ও ঘুরে এলুম সাতসমুদ্দুর তেরো নদীর দেশে।

    ReplyDelete
  5. খুবই স্বাদু রচনা। জোনাকি মেলার সঙ্গে আজই পরিচয় হলো।

    ReplyDelete