সব কিছু কি আর মুছে
ফেলা যায় ? অনেকটা উঁচুতে ছাদের ডোম । ১৮০
ফুট লম্বা বাড়ি । ঘাড় উঁচু করে চোখ কপালে তুলে দেখি সেই কোথায় ওপরে কাঁচের ভেতর দিয়ে
সকালের রোদ্দুর এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে মা আর শিশুর কোমল শরীর । পবিত্র প্রজ্ঞা ,আয়া
সোফিয়ার আলো বিকীর্ণ হচ্ছে সেই প্রাসাদের মত বিশাল বাড়িটার । একেবারে ওপরে মা মেরির কোলে যিশু । মোজেইকের
কাজ । “করুণা তোমার কোন পথ দিয়ে কোথা নিয়ে যায় কাহারে /সহসা দেখিনু নয়ন মেলিয়ে
এনেছ তোমারি দুয়ারে” । গলা আপনিই বুজে আসে , চোখ আপনিই বন্ধ হয় , আঙুলে আঙুল ঢুকে দুটো হাত
আপনিই জড়ো হয়ে থুতনির কাছে উঠে আসে ।
আয়া সোফিয়া । পঞ্চম শতব্দী থেকে ইতিহাসের
পালাবদলের সাক্ষী , বিশ্বের অন্যতম মহিমময় স্থাপত্য । আয়া সোফিয়ার মধ্যে সেই
পুরোনো সময় পুরোনো পরিবেশের একটা
অতীন্দ্রিয় মোহজাল । প্রত্যেকটা অলি গলি সিঁড়ির বাঁকে ছমছমে রহস্য । ফেলে আসা সময় যেন যেতে গিয়েও
যাচ্ছে না । নিজেকে প্রচ্ছন্ন অথচ প্রকট
করে রেখেছে সব জায়গায় । পুরোনো নকশায় , রঙ চটা মোজাইকে , আর্চের কারুকাজে ,
ফ্রেস্কোতে , পাথুরে পাকদন্ডীতে , চক
মিলানো মেঝেতে সব জায়গায় সময় যেন থমকে আছে
। এর বিশাল আয়তনে আজো ভিজে ভিজে হয়ে রয়েছে মধ্য
যুগের ইতিহাসের গন্ধ । সেই গন্ধ আজো মুছে ফেলা যায় নি আয়া সোফিয়ার দেহ থেকে ।
সাতশ বছর ধরে কনস্টান্টিনোপল ছিল দুনিয়ার সেরা শহর । চতুর্থ ক্রুশেড তছনছ করে দিল এই শহরটাকে । খ্রিস্টান এবং
জেরুসালেম সমেত মধ্য প্রাচ্যের ইসলামদের এই ক্রুশেডে খ্রিস্টানরাই অর্থোডক্স আর
রোমান ক্যাথলিকে ভাগ হয়ে নিজেদের দুর্বল করে দেয় । আয়া সোফিয়া এই তুলুম দলবাজি
থেকে রেহাই পায় নি । প্রথমে ছিল গ্রিক
অর্থোডক্স চার্চ । তারপরে রোমান ক্যাথলিক । আয়া সোফিয়ায় রোমান ক্যাথলিকদের তাণ্ডব । ধর্ম বশ
মানে অর্থের । কন্সটান্টিনোপলের ধন সম্পদ লুটে নেওয়া ধর্মীয় সংহতির চেয়ে পরম রমনীয়
মনে হয়ে ছিল তাই “সুদূর নতুন দেশে সোনা
আছে বলে/মহিলারি প্রতিভায় সে ধাতু উজ্জ্বল/ টের পেয়ে দ্রাক্ষা দুধ ময়ূর শয্যার কথা ভুলে
“চার নম্বর ক্রুশেডে তিন দিন ধরে শহর লুঠপাট ।
প্যারিস ,ভেনিস মিলানো জেনোয়া
সব নগর থেকে পিছিয়ে পড়ে কনস্টান্টিনোপল
তখন ধুঁকছে , সেই তেরো শতকের প্রথম দিকে । সিল্ক রুটের পথও ঘুরে গেলো । তারপর ১৪৫৩ সনে অটোমান টার্কের হাতে তাসের ঘরের
মত ভেঙে পড়লো বাইজান্টাইন রোম । এইসব দামাল
পালাবদলের ক্ষত আয়া সোফিয়ার সারা গায়ে । ভেঙে চুরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলা হয়
অনেক মূর্তি , অনেক মহার্ঘ শিল্প কীর্তি । চারটি মিনার তুলে মসজিদ
হয়ে গেল গির্জা । কিন্তু সব কি আর মুছে ফেলা যায় ? অনেক অনেক ওপরে দেওয়ালে ছাদে
অপরূপ মোজেইকের বর্ণিল বিষণ্ণতার আড়ালে এক ধ্বংসের বিষাদ গাথা । বড় বড় ফলকে সোনালি অক্ষরে আল্লাহ্র নাম ,
সুলতানদের নাম । মক্কামুখী মিরহাব ।
পাথুরে বিশালাকার পাকদন্ডী বেয়ে দোতলায় উঠি । পাহাড়ের ঢালের মত পথ । স্তম্ভ।খিলান, গম্বুজ ফ্রেস্কো , রঙিন নকশি কাঁচ
। আলো আঁধারে সেই গুমগুমে বিশালের মধ্যে আচ্ছন্নের মত কিছু সময় মিশে যাওয়া । এখন এটা মিউজিয়াম । কোন ধর্মীয় কাজকর্ম
হয় না ।
আয়া সোফিয়া থেকে বেরিয়ে বাইরের রোদ্দুরে ভেসে যেতে যেতে টাটকা কমলালেবুর রস খেতে খেতে ব্লু
মস্কের দিকে হাঁটা লাগালাম । এই জন্য সুলতান আহমেট স্কোয়ার জায়গাটা এতো ভালো লাগে
। এখানে ট্রাম আসে কিন্তু যান জট এড়াতে বাস আসে না । সবকিছুই যেন হাতের নাগালে । তুরস্কে ব্লু মস্কে
সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসে । তারপরেই কোনিয়ার রুমি ।
ব্লু মস্কে মোট ছটি মিনার । ব্লুমস্ক বা সুলতান আহমেট মসজিদে বড় জাঁক
। প্ল্যাস্টিকের জুতোর খোপে পা ঢুকিয়ে ভেতরে যাও । কিছুদিন আগেও তো যথেষ্ট আধুনিক
ছিল । এখন অবিশ্যি পুজোপাঠের জায়গা রয়েছে । ফুল প্যান্ট না পরার জন্য একটা মেয়েকে
ঢুকতে দিলো না । খুব কারু কাজ চারদিকে । খুব সুন্দর । নীল টালির ব্যাবহার । বেশ
কিছুক্ষণ ঘুরে ঘুরে দেখলুম ।
সারা সন্ধে আবার সেই গুলতানি করেই কেটে গেলো । সত্যি কথা বলতে কি
ইস্তানবুলের সন্ধে বেলার আড্ডাগুলো
প্রচন্ড আওয়ারগির । ভোলা কঠিন । তার মাদকতাই আলাদা । আসলে তুরস্কের নিজস্ব ঘরানাটা
এতো বর্ণ ময় আর মজবুত, ওদের কারুর থেকে ধার নেবার ব্যাপারটা বিশেষ চোখে পড়ে না ।
মশলা কেনার সময় মশলা ভাই বলছিল পেঁয়াজ
কেটে লেবুর রস মাখিয়েএকটু সুমাক ছড়িয়ে দেবে , আঃ , যেন অমৃত । বন্ধুবরের মুখে যেন
নিমের পাঁচন । আর পারিনা বাপু , সেই এক ঘেয়ে দইএর ঘোল ,বোরেক , গুচ্ছের স্যালাড , মোটা মোটা বাদামি ভাত, ঝলসানো মাংস মাছ ।মেডিটেরানিয়ান খাবার ! নিকুচি
করেছে । অন্য কোন ধরনের খাবার সহজে পাওয়াই
যায় না । ওমা ! যেমন বলা , ঠিক দেখি একটা কোরিয়ান রেস্তোরাঁ , হংস মধ্যে বক যথা । সেখানে বন্ধুবর বেশ খানিকটা গারলিক
চিকেন ,সাদা ভাত ,কিমচি খেয়ে মুখে একশো পাওয়ারের
বাতি জ্বেলে বলল , উফ একটু স্বস্তি পাওয়া
গেল ।
সেই স্বস্তি সঙ্গে করে নিয়ে ট্রামে চাপা হল । নেমে গেলাম গালাটা ব্রিজ
। ওরে ব্বাবা , সেখানে তখন আরেক মস্তি । ওপরে নীল চকচকে আকাশ , গালাটা ব্রিজের নিচে
চকচকে নীল মারমারা সাগর । এই নীলের ক্যানভাসে ছোট্ট
ছোট্ট সাদা ফেনার ঢেউ , ছোট বড় স্টিমার জাহাজ ,দূরে দূরে লম্বা লম্বা মিনার ,
কিন্তু সব্বাইকে ছাপিয়ে গেছে ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুলে থাকা রাশি রাশি ছিপ । অদ্ভুত
মেছো গন্ধে চারদিকটা ভুরভুর করছে । মেছুয়াদের চাঁদের হাট । পোকা, কেঁচো , মাছের
টোপ । গলা খেলিয়ে খেলিয়ে গানের তানকারি করার মত ছিপ খেলিয়ে খেলিয়ে মাছের পকড় আনাও
একটা সাঙ্ঘাতিক ক্লাসিক্যাল ব্যাপার । বড় মাছ ধরা পড়লে ভালো , ছোট মাছ গুলো ওরা
ছুঁড়ে মারছে আকাশে , ছোঁ মেরে নিয়ে যাচ্ছে সি গালের দল । মাছ , পাখি , মেছুয়া ,
বড়শি ফাতনা ,পাশে আবার লেবুর রস নুন দিয়ে শামুক গুগলির ফাস্টফুড কিয়স্ক । আমরা খুব
খানিকটা মজা দেখে , এর পাশে ওর পাশে খানিকটা দাঁড়িয়ে , দু একটা মন্তব্য দু এক ফালি
হাসি ছুঁড়ে দিয়ে ব্রিজের নিচে নেমে যাই ।
সেখানে দেখি সার সার খাবারের দোকান । সবাই প্রায় হাত পা ধরে
ইন্দিস্তানি ইন্দিস্তানি বলে মাছ খাওয়াতে
চায় । এর মধ্যে একটা লোক বন্ধুবরের দিকে এগিয়ে এসে বলল ব্রাদার ,আমার নাম তুমি
ভুলে গেছ , তাকিয়েও দেখলে না পর্যন্ত । আমি কিন্তু তোমাকে ভুলিনি । এসো ভাই , খাবে
এসো । ভালো চিংড়ি এনে রেখেছি । এসো বসো । আমরা বললাম আমাদের অলরেডি খাওয়া দাওয়া
হয়ে গেছে । পরে আসবো কেমন? লোকটা এসে বন্ধুবরকে জড়িয়ে ধরে বলল নিশ্চই আসবে । তুমি
ভুলে গেলে কি হবে, আমি যে ভুলিনি ভাই ।
আহা ! নাটক দেখে মন জুড়িয়ে
গেল । হোক না নাটক , দরদ খানা দেখার মত । বন্ধুবর মাথা চুলকায় । কপালে ভাঁজ ,
চিন্তায় পড়েছে মনে হচ্ছে । ইতিমধ্যেই
দুয়েকটা ট্যাক্সি ড্রাইভার বন্ধুবরকে ইরানি বলেছে । কাপাদোকিয়ার আজুরে কেভের মালিক
ফারহাদ বলেছে তুমি আমার এক নিকট আত্মীয়ের মত দেখতে কিন্তু । সে কে , জিগ্যেস করায়
বলেছিল, আমার শ্বশুর । কোনিয়ায় গাইড আহমেটকে দেখতে প্রায় বন্ধুবরের বাবার মত । তাই
সে তার উৎস নিয়ে একটু ধন্ধে পড়ে গেল , মনে হল ।
হঠাত শুনি বোস্ফোরাস বোসফোরাস বলে কারা হাঁকডাক লাগিয়ে দিয়েছে ।এমিনোনু স্কোয়ার থেকে বোসফোরাস ক্রুজ শুরু হবে । ভরন্ত
বিকেল । চারদিকে যেন উৎসবের রোশনাই । আমরাও টিকিট কেটে মিনি জাহাজের ছাদে
চড়ে বসলুম । রোদ্দুরে ভেসে যাচ্ছে চারদিক
। নীল জলের রোদ
মাখা কুড়মুড়ে হাওয়া । উড়ে যাচ্ছে চুল ,
গলার উড়নি । মিনি জাহাজ বেশ খানিক পরে সময় মত ছাড়লো । আমার পাশে বসেছেন এক মহিলা ,
কি যেন বলছেন । আমি বললাম , নো তুরকিশ, ওনলি ইংলিশ । মহিলা কাকে একটা ডাকলেন ,
একটা সোনালি রঙ করা লম্বা চুল এসে হাজির । সেই মেয়েটা এক্কেবারে আজকের মেয়ে । সার
কথা হল পাঁচ জন মহিলার একটা গ্রুপ এরা । সবাই এক পরিবারের । এরা থাকে তেহরানে । ইরানে
সব জিনিসের খুব দাম । তাই সস্তার বাজার হাট করতে আমরা যেমন লেকটাউন থেকে হাতি বাগান যাই , এরা তেমনি মাত্র তিন ঘন্টার ফ্লাইটে তেহরান থেকে ইস্তানবুল এসেছে । হপ্তা খানেক থাকবে । তারপর
ফেরত । ইরান যেতে চাই শুনে বলল , চলে এসো , আরে দারুণ লাগবে । তবে হ্যাঁ , মাথাটা ঢেকে
রাখতে হবে । সমুদ্রের হাওয়ায় শঙ্খ চিলের মত উড়ে যাচ্ছে তার সোনালি
রঙা খোলা চুল, রঙচঙে সানগ্লাসে উপচে পড়ছে
ক’দিনের লাগাম ছাড়া আনন্দ ।আহা , দেশে ফিরে গেলে এই সাধের চুল ঢেকে রাখতে হবে । সেলফি উঠছে পটাপট । ইনিবিনিইনিবিনি করে মহিলা
কিছু বললেন , পেস্তা ভরা হাত এগিয়ে এলো । মেয়েটা বলল আমার দাদু একটা ইন্ডিয়ার
গান গাইতো , ইচক দানা বিচক দানা , দানে
উপর দানা ইচক দানা । পাঁচ টা কৌতূহলী মুখ আমার দিকে চেয়ে । গানটার মানে কি বলতো ?
ইচক দানা বিচক দানা, দানে উপর
দানা ইচক দানা/ ছজ্জে উপর লড়কি নাচে ,
লেড়কা হ্যাঁয় দিওয়ানা ।
আমি মানে করে করে বলছি আর মেয়েটা ইনিবিনিইনিবিনি করে
তর্জমা করছে । আর পাঁচটা মুখ খিল খিল করে হেসে এ ওর গায়ে ঢলে পড়ছে , যেন টিউলিপ
বাগানে বাতাস বয়ে গেল । মহিলা
বলে দিলেন ইরানে গেলে কোথায় কোথায় যাবো ।
সিরাজ , ইশফাহান , পারসেপোলিস । কোনো প্রবলেম নেই তো ? মেয়েটা হেসে কুটোপাটি,
প্রবলেম ? হোয়াত প্রবলেম ?
দুদিনের প্রমোদ । ফুলের বনে যার পাশে যাই, তারেই লাগে ভালো । দুদিন
পরেই ইরানে বোমা ফাটল ।
একদিকে এশিয়া অন্যদিকে ইওরোপ । বসফোরাসের দুদিকে চোখ জুড়োনো একের পর
এক ছবি। আমার মাথার ভেতরে আওয়ারগির জোনাকি । বুকের মধ্যে তোলপাড় ।
গাইড মেসুট বলেছিল ইভিল আই এর
কথা ।তুরস্কে নেমেই দেখবে তোমাকে কারা যেন সবসময় দেখছে । ভালোর জন্যই দেখছে
অবিশ্যি । ওরা ইভিল আই । আজকাল আবার শুনতে পাই, গ্রিকদের মত ওদেরও ইভিল আই আছে
। মেসুদ টিপ্পনি কাটে , তবে আমি বলি কি ? তুর্কি ইভিল আই, গ্রিসের চেয়ে ইভিলকে
বেশি ঠেকাতে পারে!
রঙ্গরসিকতায় তুর্কি দের জুড়ি মেলা ভার । বাঙালিদের মত । তার ওপর দুধ
ছাড়া তুরকিশ চা ,আমরা যার প্রতি ভক্তিতে একেবারে ভেসে গেছি । এক্সট্রা মালাই মারকে
,ইলাইচি চায়ের পায়েস খেতে হচ্ছে না ।
সারাদিন পর্যটনে পা টন টন । অসাড় ঘুম । পরদিন সোজা তোপকাপি প্যালেস ।
হয়তো বিপুলায়তন নয় কিন্তু মারাত্মক গ্ল্যামার
। রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ভালো । অটোমান
সুলতানদের প্রাসাদ । এখানে হজরত মোহম্মদের দাঁত আরও অনেক দুষ্প্রাপ্য জিনিশ পত্র
রাখা আছে । আমিতো প্রাসাদ সৌন্দর্যের প্রেমে তখন পাগল আওয়ারা ।
আবার প্রশস্ত চাতাল থেকে গোল্ডেন হর্ন দেখা যায়
, মারমারা বোসফরাসের নীলে নীলে প্রাসাদের সাদা বারান্দায় সোনালি নীল সবুজ সেরামিকের নকশায় নকশায় স্বপ্নের জাল বুনে তাকে রেখে এসেছি । কেউ
তাকে ভেঙে দিও না । ছিঁড়ে ফেলো না ।
আমাদের ভালোবাসাগুলো বেঁচে থাক । আমাদের স্বপ্ন গুলো বেঁচে থাক । আমরা যেন আবার
অবাক হতে পারি , বিস্মিত হতে পারি , ভালবাসতে পারি ।এমনই সুন্দর থাকো , শহর আমার !
“ থেঁৎলানো ফুল ,আইসক্রিমের
ওপর রক্তের ছিন্টে ... গোলাপ বাগান জ্বলছে,সেখানে, ট্যাঙ্কের তলায় গুঁড়িয়ে যাচ্ছে
আরব্য রজনীর বাঁকা চাঁদ “,আমাদের যেন দেখতে না হয় ।
কবিতা নাজিম হিকমত
ছবি লেখক
একেবারে মখমলী।যেমন ছবি,তেমনি লেখা!অপূর্ব!
ReplyDeleteইশ কি যে ভাল আপনি
ReplyDeleteBeautiful pictures and amazing job you have done. Best wishes from Mandawa...!!!
ReplyDeleteThank you so much Mandawa....
ReplyDelete